২০০০ বছরের পুরনো গেঁটে বাতের ওষুধে সারছে করোনা?



Odd বাংলা ডেস্ক: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছোঁবে, এ সতর্কতা কিছুদিন আগেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত মানবজাতি এখন উন্মুখ হয়ে চেয়ে আছে একটা ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের। আপেক্ষায় আছেন কখন একটা সুখবর দেবেন বিজ্ঞানীরা। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যও নানা ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে। এবার নতুন এক তথ্য দিলেন মার্কিন গবেষকেরা। তাদের দাবি, দু্'হাজার বছরের পুরনো ‘কোলকিসিন’নামে গেঁটে বাতের একটি ওষুধের ব্যবহারে করোনা আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই গবেষণায় যুক্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গেঁটে বাতের চিকিৎসকরা বহুকাল ধরেই 'কোলকিসিন' ব্যবহার করছেন। রোগীদের উপরে এই ওষুধের প্রয়োগও সহজ। ইঞ্জেকশন বা অন্য কোনোভাবে এই ওষুধ দেওয়া হয় না। গিলে খাওয়া যায়।

জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা দাবি করেছেন, গ্রিসের ১০৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপরে এই ওষুধ প্রয়োগ করে গবেষণা চালানো হয়েছে। গ্রিসের ওই আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে 'কোলকিসিন' নামে গেঁটে বাতের ওষুধ তিন সপ্তাহ ধরে রোজ দেওয়া হয়। করোনা আক্রান্তদের উপরে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে এই ওষুধও প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, 'কোলকিসিন' প্রয়োগে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মার্কিন গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, গেঁটে বাতের চিকিৎসায় এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয় বহু যুগ ধরে। গবেষকরা এবার সেটাই প্রয়োগ করলেন কভিড-১৯ এর চিকিৎসায়। যে ১০৫ জন করোনা আক্রান্তের উপরে এই ওষুধ প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫০ জনকে 'কোলকিসিন' দেওয়া হয়নি। দেখা গেছে, যাদের কোলকিসিন দেওয়া হয়নি তাদের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে। আর যে রোগীদের কোলকিসিন দেওয়া হয়েছে, তাদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়েছে। তবে এই ওষুধের উপরে এখনই পুরোপুরি নির্ভর করা যাবে না। চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, এত কম সংখ্যক রোগীর উপর চালানো পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না। আরো অপেক্ষা করতে হবে। অনেক বেশি সংখ্যায় করোনা আক্রান্তের উপের কোলকিসিন প্রয়োগে সাড়া মিললেই বলা যাবে যে এটি কভিড-১৯ সারাতে ভাল কাজ দিচ্ছে। তাই আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আরো অনেক পরীক্ষা চালেতে হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.