স্যাঁতস্যাঁতে ঘুপচি ঘরে বদ্ধ রয়েছেন ১৯জন 'বিশেষ সক্ষম' বয়স্ক মানুষ, বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শনে এসে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে


Odd বাংলা ডেস্ক: দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম এবং দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল শুক্রবার রাজধানীর নাঙ্গলোই এলাকায় এক এনজিও দ্বারা পরিচালিত একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আর সেখানে ১৯ জন বিশেষভাবে সক্ষম বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে একটি ছোট্ট ঘরে আটকে করে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে ঘরগুলির পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও জঘন্য।

নাঙ্গলোই বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শনকালে আরও ভয়ঙ্কর যেসব বিষয় উঠে এসেছিল, তা হল, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা থাকার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আর সেইকারণে অনেকে বাধ্য হতেন একই বিছানায় ভাগাভাগি করে শুতে। নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন না থাকায় ঘরটি অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় ছিল। ঘরের মধ্যে মাত্র একটি বাথরুম ছিল এবং সকলেই ওই একটি বাথরুমই ব্যবহার করতেন, এমনকি অনেক বয়স্ক মানুষ বিছানাতেই মলমূত্র ত্যাগ করতেন আর তার দুর্গন্ধে সেখানকার পরিবেশ আরও কঠিন হয়ে উঠেছিল। বৃদ্ধাশ্রমে তাঁদের দেখাশোনা করার জন্য কেউ ছিলেন না, আর সেই কারণেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিজেদেরকেই তাঁদের জায়গা পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। 

করোনা মহামারির সময়ে যখন সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তখন ওই বৃদ্ধাশ্রমের ছোট্ট এসবের কোনও বালাই ছিল না। একসঙ্গে অনেক মানুষ গাদাগাদি করে তাকার জন্য ঘুপচি ঘরে গরম এবং আর্দ্রতা অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে পরিবেশ অনেকটাই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গিয়েছিল। তারওপর বৃদ্ধাশ্রমের মালিক বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে দিনে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতেন! 

পরিদর্শন শেষে দিল্লির মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম বৃদ্ধাশ্রমের কার্যক্রম বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে দিল্লি পুলিশকে কোনও অভিযোগ করা হয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। যদিও নাঙ্গলোই-এর এই বৃদ্ধাশ্রমের পরিস্থিতি সম্পর্কে দিল্লি পুলিশের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.