জানেন কি? ভারতে একসময়ে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটিকেই শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করা হত


Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো হলেই মনের মধ্যে মা দুর্গার আগমনের কাউন্ডাউন শুরু হয়ে যায়। তবে এবছরের ক্যালেন্ডার অন্যরকম। এবার বিশ্বকর্মাপুজোর প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় পর দুর্গাপুজো। তা সে যাই হোক, জানেন কি, ভারতে একসময়ে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটিকেই শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করা হত? আসলে বিশ্বকর্মা ছিলেন এক জন নির্মাণশিল্পী এবং শ্রমিক। তিনি যদুপতি কৃষ্ণের দ্বারকাপুরী এমন পারদর্শিতার সঙ্গে তৈরি করে দিয়েছিলেন যে, আধুনিক স্থাপতিরাও দ্বারকা নগরীর বাস্তুবিদ্যা ও নগর পরিকল্পনা দেখে মুগ্ধ হন।

বাস্তবিকভাবেই  শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা, একাধারে বিমান নির্মাতা এবং কর্মকারও। চার হাত বিশিষ্ট বিশ্বকর্মার এক হাতে দাঁড়িপাল্লা ও অন্য দুই হাতে ছেনি-হাতুড়ি থাকে।  প্রাচীন কাল থেকেই শ্রমিকরা তাঁদের কর্মে উন্নতির জন্য, শিল্পপতিরা শিল্পের উন্নতি জন্য বিশ্বকর্মার কাছে প্রার্থনা জানায়। জানা যায়, প্রাচীন কালে ভারতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটিকেই শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করা হত। 


ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে, বিশ্বকর্মা ও ঘৃতাচী উভয়েই শাপভ্রষ্ট হয়ে পৃথিবীতে আসেন। তাঁদের মোট নয়টি সন্তান হয়। শিল্পী বিশ্বকর্মা নিজের সন্তানদের নানা রকম কাজে শিক্ষা দিয়ে তাঁদের দক্ষ শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি কর্মকারকে লৌহশিল্পী, সূত্রধরকে কাঠের শিল্প, শঙ্খকারকে শঙ্খশিল্প, কাংস্যকারকে কাঁসার শিল্প, কুম্ভকারকে মৃৎশিল্প এবং স্বর্ণকারকে স্বর্ণশিল্পের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে তাঁদের শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।  বিশ্বকর্মা হচ্ছেন ভারতবর্ষের মেহনতি মানুষদের নিজের দেবতা। সুপ্রাচীন কালে এ দিনেই ছিল শ্রমিক দিবস। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তাই সমস্ত শিল্পের শ্রমিকেরা তাঁদের পূর্বজকে স্মরণ করে, আরাধনা করেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.