স্বামী নিগমানন্দ ও কবন্ধের উপস্থিতি, তন্ত্র জগতের এক অদ্ভুত কাহিনী


শুভেন্দু পাঠক: আমার জ্যাঠামশাইয়ের শ্বশুরমশাই স্বামী নিগমানন্দের কাছেই দীক্ষা নিয়েছিলেন। বর্তমান হালিশহরে তাঁর মঠ ও আশ্রম রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ন এলাকায় স্বামী নিগমানন্দ বহুবার গিয়েছেন এবং বেশ কিছু স্থানে সাধনাও করেছেন। নিগমানন্দ মহারাজ কিন্তু সাধনার পথে আশার আগেই প্রেত তত্ত্ব অনুশীলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। 

স্ত্রীর মৃত্যুর পর নলিনিকান্ত (নিগমানন্দের আসল নাম) দক্ষিণ ভারতে থিওসফিক্যাল সোসাইটিতে গিয়ে প্ল্যানচেটের অনুশীলন করেন। এক রাতে তিনি তাঁর মৃত স্ত্রীর আত্মার আবাহন করেন। আর সেটাতে তিনি সাফল্যও লাভ করেন। কিন্তু এই প্ল্যানচেটকে তাঁর খুবই নিম্নমানের তন্ত্র বলে মনে হয়। তাই উচ্চমানের তন্ত্রসাধনার শিক্ষা নিতে তিনি ফিরে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। দেখা করেন সাধক বামাক্ষ্যাপার সঙ্গে। কিন্তু বামাক্ষ্যাপার করুণা পাওয়ার পরও তিনি কিছুতেই ভাবতত্ত্বে  সাধনা করতে পারছিলেন না। তাঁর রুচি ছিল তন্ত্র ও অলৌকিকতার প্রতি। আর তাই উচ্চমানের তন্ত্রসাধনায় মনোনিবেশ করেন স্বামী নিগোমানন্দ। 

কবন্ধের আবির্ভাব: 

মনে করা হয় কবন্ধ নামকরণটি স্বামী নিগোমানন্দই করেছিলেন। কবন্ধ কথাটির অর্থ মস্তক হীন। শোনা যায় পলাশির প্রান্তরে ভাগীরথীর তীরে স্বামী নিগমানন্দ এক মস্তক হীন প্রেত আত্মার দেখা পেয়েছিলেন। স্বামী নিগমানন্দ পরে তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন এই কবন্ধদের ক্ষমতা প্রচন্ড বেশি হয়। আর এরা চাইল ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে পারে। তিনি আরও বলেন কোনও স্থানে গণহত্যার ঘটনা ঘটলে প্রতি ১০৮ জনের মৃত্যুর পর একটি করে কবন্ধের সৃষ্টি হয়। মনে করা হয় পলাশির যুদ্ধ ঠিক যেখানে হয়েছিল নিগোমানন্দ সেখানেই তপস্যা করছিলেন। তাই তিনি এরূপ আত্মার দেখা পেয়েছিলেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.