শরীরে ডানা-শিং, এ কেমন ভয়ঙ্কর রূপ!

Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে শখের তোলা আশি টাকা। আসলেও আমরা শখ বলতে বুঝি তাই। সাধারণ মানুষদের শখ হয়ে থাকে সাধারণ। আর অসাধারণ মানুষদের শখগুলোও যেন তাদের মতো। ঠিক যেমনটা ব্রাজিলের একজন ব্যক্তির। তিনি নিজের দেহের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে ট্যাটু করাননি। কি অবাক হচ্ছেন বুঝি? শুনে অবাস্তব মনে হলেও এটাই সত্যি।

ব্রাজিলিয়ান ট্যাটু আর্টিস্ট মিশেল ফারো প্রাদো নিজের এক ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন। তিনি এই কাজটি করেছেন তার সারা শরীর জুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ট্যাটুর সমন্বয়ে। প্রাদো, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডায়াব্লো প্র্যাদো বা ডেভিল প্রাদো নামে পরিচিত।

ট্যাটুর মাধ্যমে তিনি তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিবর্তন করে নিজের এক ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন সমাজের সামনে। নিজের চেহারার প্রায় সম্পূর্ণটাই বদলে ফেলেছেন তিনি। তিনি তার নাকে সামনের অংশকে ছোট করে হাতের একটি আঙুল বাদ দিয়ে নখের মতো তার হাতকে অনুকরণ করেছেন। তিনি ট্যাটুর মাধ্যমে নিজের একটি ডানা এবং শিংও বানিয়েছেন।

এক সাক্ষাত্‍কারে প্রাদো জানান, 'এই ভয়ঙ্কর রুপে পরিণত হওয়ার কোনো প্ল্যানিং ছিল না, এরকম কোনো ধারণাও ছিল না।' তবে এই ভয়াবহ রুপ তাকে আকৃষ্ট করেছে'। একদা গৃহহীন মাদকাসক্ত ৪৬ বছর বয়সী এই ট্যাটু শিল্পীর কথায়, 'সেই কঠিন সময় আমাকে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছিল, যিনি প্রতিনিয়ত নিজস্ব জ্ঞান কাজ লাগিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে চলছেন'। প্রাদো আরো জানান, এই ভয়ঙ্কর রূপের আড়ালে তার একটি সুন্দর হৃদয় আছে।

তার স্ত্রী নাম ক্যারল প্রাদো। তার বয়স ৩৬ বছর। তিনিও কোনোভাবে মিস্টার প্রাদোর থেকে পিছিয়ে রাখতে রাজি নন। তিনিও তার চেহারার আমুল পরিবর্তন করে চমক সৃষ্টি করেছেন একই ভাবে। ক্যারল প্রাদো সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ডেমন উওম্যান' হিসাবে খ্যাত। সাও পাওলোর বাসিন্দা এক দম্পতি বিগত পাঁচ বছর ধরে আস্তে আস্তে  নিজেদের এই রূপে সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন।

প্রাদো দম্পতির কথায়, তারা তাদের এই ভয়ঙ্কর রূপের জন্য নানা ভাবেই নানা ঘৃণা এবং বিদ্বেষের মুখোমুখি হয়েছেন, তবে তারা সবসময়ই সেগুলোকে উপেক্ষা করে গেছেন। মিস্টার প্রাদো এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি সমাজের মুল স্রোতের থেকে একটু আলাদা ভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে চাই, আমি মানুষের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেয়েছি যেখানে ঘৃণা এবং বিদ্বেষও ছোট হয়ে গেছে'।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.