বাবরি মসজিদ বিতর্কের পর এসেছে আঘাত, সহ্য করেও ১৫০০ বছর ধরে করাচিতে বিরাজমান পঞ্চমুখী হনুমান


Odd বাংলা ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০০ বছরের পুরনো পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি হিন্দুদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ বলা হয় এটি বিশ্বের একমাত্র মন্দির, যেখানে হানুমানজীর একটি 'প্রাকৃতিক মূর্তি' রয়েছে, যা মনুষ্যসৃষ্ট নয়।
নীল ও সাদা এই মূর্তির উচ্চতা ৮ ফুট। জানা যায়, কয়েক শতাব্দী আগে ওই স্থানে ওই মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছে, বর্তমানে যেখানে এখন মন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মূর্তিতে হনুমানের পাঁচটি অবতার রয়েছে-  নরসিংহ, আদিবরাহ, হায়াগ্রীবা, হনুমান এবং গরুড়। মনে করা হয় যে, যেসব দেবদেবীর মূর্তি মনুষ্যসৃষ্ট নয় এবং প্রাকৃতিকভাবে তৈরি, তা ব্যতিক্রমী ক্ষমতার অধিকারী এবং এই দেবতা তাঁর উপাসকদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। 

মন্দিরে প্রবেশের পরে, মন্দির চত্বরের মাঝখানে একটি খোদাই করা হলুদ পাথর কাঠামো লক্ষ্য করা যায়। কাঠামোটি সুপ্রাচীন হওয়ায় অনেকাংশই ভগ্নপ্রায়। এই মন্দিরটির সংস্কারের কাজটি ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল এবং মন্দিরটির আদি কাঠামো সংরক্ষণের জন্য, খিলান দেয়ালগুলি পুনর্নির্মাণের জন্য হলুদ পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্দিরের সামনের ছোট বারান্দার দু'পাশে খোদাই করা হলুদ পাথরের স্তম্ভ রয়েছে যার চারপাশে কালো এবং সাদা মার্বেল মেঝে রয়েছে, এর চারদিকে ঘড়ির কাঁটা প্রদক্ষিণের জন্য একটি প্রশস্ত পথ (পরিক্রমা / প্রদক্ষিনা) রয়েছে।  বিশ্বাস করা হয় যে, কক্ষগুলির চারপাশে ১০৮বার প্রদক্ষিণ করলে, সমস্ত ব্যথা-যন্ত্রণা, মন্দ ও প্রতিকূলতা কেটে যায়। এই মন্দিরটি সমস্ত বর্ণ ও সম্প্রদায়ের নির্বিশেষে সকলেরই আশ্রয়স্থল।

এদেশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর পাকিস্তানে অবস্থিত যেসব হিন্দু মন্দিরের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল তার মধ্যে এই হনুমান মন্দির অন্যতম। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হনুমানজী। মারাঠি, সিন্ধি, বালুচ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই মন্দির দর্শনে যান। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.